সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
মোঃ জামাল হোসেন লিটনঃ বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও বাংলাদেশের পর্যটন: স্বপ্নযাত্রা থেকে আজকের বাস্তবতা” শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পুরাকীর্তি ও প্রত্নতত্ত্ব, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সফলভাবে তুলে ধরতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি আরো বলেন, পর্যটন কোন একক বিষয় নয়। এটি দেশের সার্বিক উন্নতির সাথে সম্পর্কিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, খাদ্যে স্বনির্ভরতা ও শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়ন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ তার সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণেই পর্যটন খাত সামনে এগিয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সংক্রমণ রোধে পর্যটক ও পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত সকল অংশীজনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটকেরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে পালন করে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন বলেন, পর্যটনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস। এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব দেওয়ান মোঃ আবদুস সামাদ,বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, টোয়াব এর প্রথম সহ-সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী, ট্রিয়াব এর সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।